Namazer Doa-Sura-Tasbi O Aina Hur (নামাযের দোয়া, তাসবীহ, সূরাসমূহ এবং আয়নাহুরের আলোচনা।) Islamic Media Blog
bvgv‡h `iKvix †`vqv-Zvmexn I m~iv mg~n Ges Avqbv ûi m¤ú‡K© Av‡jvPbv|
নামাযের ফরজসমূহ, আহকাম ও আরকানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, নামাজে দরকারী দোয়া ও তাসবীহ সমূহ,
জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়িবার দোয়া,
তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু), দুরূদ শরীফ,
দোয়া মাসূরা দোয়া, দোয়া কুনুত, মুনাজাত, তওবা-এস্তেগফার, নামাজের পরে তাসবীহ সমূহ।
বিশেষ দরকারী কয়েকটি সূরা :
সূরা ফাতিহা, সূরা নাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নসর, সূরা কাফিরূন,
সূরা কাওসার, সূরা ইখলাছ, সূরা লাহাব, সূরা কুরাইশ, সূরা ফীল।
বিশেষ দরকারী কয়েকটি দোয়া :
কবর যিয়ারতের দোয়া, তাকবীরে তাশরীক, ঈদুল আজহা নামাজের নিয়্যত, আকীকার দোয়া
জানাযার নামাজের নিয়্যত, জানাযার ছানা, জানাযার দোয়া।
আয়নায়ে হুর সংক্রান্ত একটি যুবকের আশ্চর্যজনক ঘটনা ।
মহিলাদের জন্য মাওলানা সাঈদ খান সাহেবের নছিহত।
পুরুষদের মেহনতের পাশা পাশি মাছরাতের মধ্যে মেহনত হওয়া জরুরী।
নামাজে দরকারী দোয়া ও তাসবীহ সমূহ।
জায়নামাজে দাঁড়াইয়া পড়িবার দোয়া :
ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। |
অর্থ : “যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন, নিশ্চয়ই আমি আমার মুখমুণ্ডল তাঁহার দিকে ফিরাইলাম। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।”
ছানা (সুবহানাকা) - সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা'আলা জাদুকা ওয়া লা-ইলাহা গায়রুক।
অর্থ : “হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, সকল প্রশংসা তোমার জন্যই। তোমার নাম মঙ্গলময়। তোমার মহিমা অতি উচ্চ। তুমি ভিন্ন কেহই মাবুদ নাই।”
তায়া'ব্বুজ ('আউযু বিল্লাহ) - আউযু বিল্লাহি মিনাশশাইতানির রাজীম।
অর্থ :- বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা হইতে আল্লাহ তা'আলার আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি।
তাসমিয়া - বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
অর্থ - পরম করুণাময় দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।
রুকুর তাসবীহ্ - সুবৃহানা রব্বিয়াল আর্যীম।
অর্থ : আমার মহিমান্বিত প্রভু পবিত্র।
তাসমী - সামীআল্লাহু লিমান হামিদাহ্।
অর্থ : যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, তিনি তাহা শোনেন।
তাহমীদ - রব্বানা লাকাল হাম্দ।
অর্থ : হে আমার প্রভু! সকল প্রশংসা আপনার জন্য।
সিজদার তাসবীহঃ সুবহানা রব্বিয়াল আলা।
অর্থ : আল্লাহ অতি বড় ও পবিত্র।
তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) – : আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্বাইয়্যিবাতু, আচ্ছালামু আলাইকা আইয়ুহান্ নাবিয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আচ্ছালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহি ছালিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ্।
অর্থ - মোখিক, শারীরিক, আর্থিক সমস্ত ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য । হে নবী! আপনার প্রতি আল্লাহর রহমত, বরকত ও শান্তি বর্ষিত হউক। আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কেহ মাবুদ নাই এবং ইহাও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
দুরূদ শরীফ
আল্লাহুম্মা সাল্ল আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারকাতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (সঃ) ও তাঁহার বংশধরগণের প্রতি সেইরূপ শান্তি বর্ষণ কর, যেইরূপ তুমি ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি বর্ষণ করিয়াছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ কর, যেইরূপ তুমি ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁহার বংশধরগণের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করিয়াছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
দোয়া মাছুরা
আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।
অর্থ : হে আমার আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অনেক জুলুম করিয়াছি। তুমি ছাড়া পাপ মার্জনাকারী কেহই নাই। অতএব, হে আল্লাহ! অনুগ্রহপূর্বক তুমি আমার গুনাহগুলো মাফ কর এবং আমার উপর দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি দয়াময় ও পাপ মার্জনাকারী।
সালাম : আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি।
অর্থ : তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র শান্তি ও রহমত বর্ষিত হউক।
দোয়া কুনুত : আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা ওয়া নুমিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইরা ওয়া নাশকুরুকাওয়ালা নাকফুরুকা ওয়ানাখলাউ ওয়ানাকু মাইইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বাদু ওয়া লাকা নুছাল্লী ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ ওয়া নাফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা-আজাবাকা, ইন্না আজাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক্ব।
মুনাজাত : রব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া কিনা-আযাবান্নার। রব্বানা-তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামীউল আলীম। ওয়াতুব্ আলাইনা ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম।
তওবায়ে ইস্তিগফার : আসতাগফিরুল্লাহ রাব্বী মিনকুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ : “আমি সমস্ত গুনাহ্ হইতে তওবা করিতেছি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।'
নামাজের পরের তাসবীহ সমূহ : নিম্নের তাসবীহ সমূহ নির্দিষ্ট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ১০০ বার করিয়া পাঠ। করিলে, আল্লাহর রহমতে দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধিত হইবে।
ফজর নামাজে : (হুয়াল হাইয়্যাল কাইয়ুম)
অর্থ - তিনি (আল্লাহ তা'আলা) জীবিত ও স্থায়ী।
যোহর নামাজে :হুয়াল আলিয়ুল আযীম।
অর্থ : তিনি (আল্লাহ তা'আলা) বিরাট ও মহান।
আসর নামাজে : হুয়ার রাহমানুর রাহীম।
অর্থ : তিনি (আল্লাহ্ তা'আলা) কৃপাময় ও করুণাময়।
মাগরিব নামাজে : হুওয়াল গফুরুর রাহীম।
অর্থ : তিনি (আল্লাহ্ তা'আলা) ক্ষমাকারী ও দয়াশীল।
এশার নামাজে : হুওয়াল্ লাত্বীফুল খাবীর।
অর্থ : তিনি (আল্লাহ তা'আলা) পবিত্র ও অতি সতর্ক।
ইহা ব্যতীত প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে (সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার,
(আলহামদু লিল্লাহ) ৩৩ বার এবং (আল্লাহু আকবার) ৩৪ বার মোট একশত বার পাঠ করিলে অশেষ নেকী লাভ হইবে এবং রিযিক বৃদ্ধি হইবে ও বরকত পাইবে।
নামাজের জন্য কয়েকটি সূরার বাংলা উচ্চারণ
সূরা ফাতিহা:
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আর-রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাছুতাঈন। ইহুদিনাছ সিরাত্বাল মুছতাক্বীম, সিরাত্বাল্লাজীনা আআমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বা-ললীন। আমীন!
সূরা নাস
উচ্চারণ : কুল্ আউযু বিরাব্বিন্নাস। মালিকিন্নাস। ইলাহিন্নাস। মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাছ। আল্লাজী ইউওয়াসৃবিসু ফী ছুদূরিন্নাস। মিনাল্ জিন্নাতি ওয়ান্নাস।।
সূরা ফালাক্ব
উচ্চারণ : কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররিমা খালাক্ব। ওয়া মিন্ শাররি গাসিক্বীন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন্নাফাছাতি ফিল উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
সূরা নসর
উচ্চারণ : ইযা-জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু, ওয়ারা আইতান্নাছা। ইয়াদখুলুনা ফীদীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্ বিহামদি রব্বিকা ওয়াছতাগফিরুহু। ইন্নাহু কানা তাওয়াবা।
সূরা কাফিরূন
উচ্চারণ : কুল ইয়া-আইয়ুহাল কাফিরূন, লা-আ'বুদু মাবুদূন। ওয়ালা আনতুম আবিদূনা মা-আ'বুদ। ওয়া লা-আনা আবিদুম মা-আবাত্তুম। ওয়া লা-আনতুম আবিদূনা মা-আবুদ। লাকুম্ দীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।
সূরা কাওসার
উচ্চারণ : ইন্না আত্বাইনা কাল কাওছার। ফাছল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান-হার। ইন্না শানিয়াকা হুওয়াল আবতার।
সূরা ইখলাছ
উচ্চারণ : কুল হুআল্লাহু আহাদ। আল্লাহুছ ছামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহ্ কুফুওয়ান আহাদ।
সূরা লাহাব
উচ্চারণ : ত্বাব্বাত ইয়াদা-আবী-লাহাবিউ ওয়া তাব্বা। মা আগনা-আনহু মা-লুহু-ওয়ামা-কাসাব। ছাইয়াছলা-নারাযা-তা লাহাবিউ ওয়ামরাআতুহু, হাম্মা-লাতাল হাত্বাব্। ফী-জী-দিহা-হাবলুম্
মিম্ মাসাদ।
সূরা কুরাইশ
উচ্চারণ : লিঈলাফি কুরাইশিন, ঈলাফিহিম রিহলাতাশ শিতায়ি ওয়াছ ছাইফ। ফাল ইয়াবুদ্ রাব্বা হাযাল বাইতিল্লাযী আত্বআমাহুম মিন যূ-য়িওঁ ওয়া আমানাহুম
মিন্ খাউফ।
সূরা ফীল
উচ্চারণঃ আলাম তারা কাইফা ফাআলা রাব্বুকা বিআছহাবিল ফীল। আলাম , ইয়াজআল কাইদাহুম ফী-তাদলীল। ওয়া আরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবাবীল। তারমীহিম বিহ্জিারাতিম্ মিন্ ছিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কায়াছফিম মা-কূল।
বিশেষ
দরকারী কয়েকটি দোয়ার বাংলা উচ্চারণ :
কবর যিয়ারতের দোয়া:
উচ্চারণঃ আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া আলাল কুবুরি মিনাল মুসলিমীনা ওয়াল। মুসলিমাতি ওয়াল মু'মিনীনা ওয়াল মুমিনাতি, আনতুম লানা সালাফুওঁ ওয়া নাহনু লাকুম তাবাউন্ ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লাহু বিকুম লাহিকূন।
এই দোয়া পাঠ করিবার পরে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরসী একবার করিয়া পাঠ করিবে। অতঃপর ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ইহার। ছাওয়াব কবরস্থানের মুর্দারগণের রূহের প্রতি ছাওয়াব রেছানী করিবে।
আর এইরূপে মুনাজাত করিবে । হে আল্লাহ! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, '. মু'মিন মুসলমান নর-নারীদেরকে এবং তাহাদের মধ্যে যাহারা জিবীত আছে এবং যাহারা মৃত্যুবরণ করিয়াছে, সকলকে ক্ষমা করিয়া দাও। নিশ্চয়ই তুমি দোয়া-প্রার্থনা কবুলকারী। হে দয়াময় প্রভু! তুমি আমার পিতা-মাতাকে রহম কর, যেইরূপে তাহারা আমাকে শিশুকালে স্নেহের সহিত লালন-পালন করিয়াছেন। হে আল্লাহ! সৃষ্টির সেরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন খাতামুন্ নাবিয়্যীন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁহার বংশধরগণ এবং ছাহাবীগণের প্রতি রহম কর। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার জন্য। সমস্ত জগতবাসীর প্রতিপালক, তাদেরকে ও আমাদেরকে ক্ষমা কর। আমীন।
তাকবীরে তাশরীক : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়্যত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকয়াতাই ছলাতি ঈদিল আদ্বহা মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা'আলা, ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমামি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
আক্বীক্বার দোয়া :
আল্লাহুম্মা হাযিহী আক্বীক্বাতুবনী ফুলানি দামুহা বিদামিহী ওয়া লাহমুহা | বিলাহমিহী ওয়া আয্মুহা বিআযূমিহী ওয়া জিলদুহা বিজিদিহী ওয়া শারুহা বিশারিহী। আল্লাহুম্মাজআ-লহা ফিদায়াল লিইবনী মিনান্নারি । বিসৃমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ।
জানাজার নামাজের নিয়্যত :
নাওয়াইতু আন্ উওয়াদ্দিয়া আরবা-আ তাকবীরাতি ছলাতিল জানাযাত ফারদিল কিফাইয়াতি আচ্ছানাউ লিল্লাহি তা'আলা ওয়াছ ছলাতু আলা নাবিইয়্যি ওয়াদ দু'আউ লিহাযাল মাইয়্যিতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বিঃদ্রঃ আর যদি মুর্দার মহিলা হয় তবে এ এর স্থলে লিহাযাল মাইয়্যিতি এর স্থলে লিহাজিয়্যিল মাইয়্যিতি পড়িতে হইবে।
বাংলা নিয়্যত : আমি কিবলামুখী হইয়া এই ইমামের পিছনে ফরজে কেফায়া জানাযার নামাজ চার তাকবীরের সহিত আল্লাহর প্রশংসা, নবীর প্রতি দুরূদ ও এই মুর্দারের জন্য দোয়াপ্রার্থনা করিয়া আরম্ভ করিলাম, আল্লাহু আকবার।।
জানাযার ছানা: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবা-রাকাছমুকা ওয়া তাআলা জাদুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লাইলাহা গাইরুক্।।
জানাযার নামাজের দুরূদ শরীফ
আল্লাহুম্মা
সাল্লিআলা মুহাম্মাদি ওয়া আলা আলী মুহাম্মাদ কামা ছাল্লায়তা ওবারাকতা ওয়া রহমাত
ওয়া তারহামতা আলা ইবরহীমা ওয়া আলা আলী ইবরহীম।
জানাযার দোয়া
আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যিনা ওয়ামাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গাইবিনা ওয়া ছগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনছানা, আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহী আলাল ইসলামি ওয়ামান তাওয়াফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফাহু আলাল ঈমানি, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন্।
আয়নায়ে হুর সংক্রান্ত একটি যুবকের আশ্চর্যজনক স্বপ্ন
আব্দুল ওয়াহেদ ইবনে জায়েদ (রহ) বলেন, তিনি একবার আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করছিলেন। তার সাথে একটি যুবকও ছিল। বয়স তার ষোল। আল্লাহর কালেমাকে উচু করার জন্য তারা রোম এলাকায় যখন উপস্থিত হলো, তখন রোমীয় সৈন্যরা তাদের বাধা প্রদান করলো। শত্রুসেনা তাদেরকে চতুর্দিক হতে বেষ্টন করে ফেললো। ঠিক ঐ মুহূর্তে উক্ত যুবকটি চীৎকার করে বলতে আরম্ভ করলো হায়! আমি আয়নার জন্য পাগল হয়েগেছি। আমি তার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছি। তার এ ধরনের কথা শুনে সবাই বলতে আরম্ভ করলো, ছেলেটি সম্ভবত পাগল হয়ে গেছে।
তারপর সে আবদুল ওয়াহেদ (রহ)-এর নিকট হাজির হয়ে বললো, “হে আব্দুল ওয়াহেদ! আমি তো আয়েনার জন্য পাগল হয়েগেছি। একথা শুনে আব্দুল ওয়াহেদ বললেন, হে বৎস! তোমার কি হয়েছে?
(আয়না নামক জান্নাতে একটি হুর আছে, যার ডান দিকে আছে সত্তর হাজার . চাকর, বামে রয়েছে সত্তর হাজার চাকর, যার সামনে রয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার চাকর । সে বলছে ঐ ব্যক্তি কোথায় যে সৎকাজের আদেশ দেয় আর অসৎ কাজ হতে বিরত থাকতে বলে।)
“ছেলেটি বললো, আমি স্বপ্নে দেখলাম এক ব্যক্তি আমার হাত ধরে বলছে যে, চল আমি তোমাকে আয়নার কাছে নিয়ে যাব। অতঃপর সে আমার হাত ধরে আয়নার কাছে নিয়ে চলল। দৃষ্টিগোচর হলো একটি পানির নহর। সেই নহরের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে মেয়েরা। তাদের পরিধানে এমনি সুন্দর পোশাক যা আমি ! কোনদিন দেখিনি। তাদের রূপ দেখে আমি পাগল হয়ে গেলাম। | সেই মেয়েগুলো আমাকে দেখে বললো, স্বাগতম! স্বাগতম! আয়নার স্বামী। এসে গেছে। আমি প্রশ্ন করলাম, তোমাদের মধ্যে আয়না কে? তারা বললো, আমরা তো আয়নার চাকরাণী। আমাদের রাণী রয়েছেন আরো আগে। সেখানে গেলে তাকে পাবেন।
আয়নার অনুসন্ধানে অগ্রসর হলাম। তথায় দেখতে পেলাম একটি দুধের ঝর্ণার পাড়ে দাড়িয়ে আছে কতগুলো অনিন্দ সুন্দরী। যাদের দেখে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। তারা আমাকে দেখামাত্র বলতে আরম্ভ করল, আপনার আগমন শুভ হোক! আয়নার স্বামীর জন্য সু-সংবাদ। আমি বললাম, প্রথমে বল দেখি আয়না কে? তারা আমাকে জানালো আমরা তো আয়নার সেবিকা। আপনি অগ্রসর হন। তথায় আয়নাকে পাবেন।
আমি ভাবতে লাগলাম আয়নার বাদীদের সৌন্দর্য এত বেশী হলে আয়না কেমন হবে? এই কথাগুলো আমার মনে ঘুর পাক খাচ্ছিল। আয়নার সাথে আমার মুলাকাতের আগ্রহ আরও বেড়ে গেল।
আমি আরও অগ্রসর হলাম, দেখতে পেলাম একটি শরাবের ঝর্ণার ধারে দাঁড়িয়ে আছে কতগুলো অনিন্দ সুন্দরী যুবতী। তাদের লাবণ্যতা পিছনের সকল সুন্দরীদের ছাড়িয়ে গেছে। তারা আমার আগমনে বলতে লাগলো, আয়নার স্বামীর জন্য সু-সংবাদ! আমি বললাম, হে আল্লাহর বান্দীগণ! প্রথমত বল আমার আয়না কোথায়? তারা জানালো, আমরা আয়নার সেবিকা। আপনি অগ্রসর হন তাকে পাবেন।
আমি অতি উৎসাহে সামনে অগ্রসর হলাম। দেখতে পেলাম একটি মধুর নহর, যার কিনারে দাঁড়িয়ে আছে অপরূপ যুবতীগণ। যাদের বর্ণনা দেয়ার মত ভাষা আমার নেই। তারা আমাকে দেখামাত্র বলতে শুরু করলো, মারহাবা! মারহাবা! আয়নার স্বামী এসে গেছে। এমতাবস্থায় আয়নাকে দেখার জন্য আমার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। তাদের লক্ষ্য করে বললাম, হে আল্লাহর বান্দীগণ আয়না কি আছে? তারা জবাব দিল হ্যা তিনি আছেন, আপনি আগে যান। সামনে অগ্রসর হয়ে
দেখি একটি তাঁবু। তাবুর সামনে দাঁড়িয়ে আছে অপাদমস্তক অলংকার সজ্জিত অনিন্দ সুন্দরী যুবতীগণ। তারা আমাকে দেখা মাত্রই তাঁবুর ভিতর গিয়ে আয়নাকে খবর দিল, হে আয়না! তোমার স্বামী এসে গেছে। তোমার স্বামী এসে গেছে।
আমি তাদের কথা শুনে দ্রুত অগ্রসর হলাম আয়নার তাঁবুর দিকে। তাঁবুর ভিতরে গিয়ে দেখি স্বর্ণ ও ইয়াকূতের মুক্তা জড়ানো পালংকের উপর আয়না বসে আছে।
এই আয়না সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে, সত্তর হাজার চাকরাণী যার ডানে আর - সত্তর হাজার চাকরাণী থাকবে যার বামে। পরণে থাকবে যার সত্তর জোড়া কাপড়। প্রতিটি জোড়া কাপড়ের রং হবে আলাদা। সত্তর প্রকারের সুঘ্রাণ থাকবে তার শরীরে। মাথায় থাকবে তার মুকুট। মুকুটে সত্তরটি ইয়াকুত পাথর থাকবে। তার একটি ইয়াকূত যদি দুনিয়ায় রাখা হয় তবে গোটা দুনিয়া আলোকিত হয়ে যাবে। তার মাথার চুল এত লম্বা হবে যে চলার সময় পা পর্যন্ত এসে যায়। সেই চুলের একটি চুলও যদি দুনিয়াতে রাখা হয় তবে গোটা দুনিয়া আলোকিত হয়ে যাবে। তার কাপড়ের সত্তর জোড়া ভেদ করে শরীর দেখা যাবে। তার গলায় দৃষ্টিপাত করলে স্বীয় চেহারা দেখা যাবে।
আয়েনা আমাকে দেখে বলল “হে আল্লাহর দোস্ত! তোমার আমার মিলন খুবই নিকটে। তাকে দেখা মাত্রই আমার ইচ্ছা করলো তার সাথে একটু আলিঙ্গন করে নিই। ইতোমধ্যে তার দিকে অগ্রসর হলাম, ঠিক সেই মুহূর্তে আয়েনা আমাকে বললো, মানুষ বড় অধৈর্য। এখন নয়, এখন তো তুমি জিন্দা। ভয় পেয়ো না, কিছুক্ষণের মধ্যে তুমি আর আমি একই সাথে নাস্তা করবো।
স্বপ্ন শেষে যুবকটি বললো, হে আব্দুল ওয়াহেদ (রহ)! আমি আর এক মুহূর্তও বাঁচতে চাই না। কারণ আমি আয়েনাকে হাসিল করতে চাই। অতঃপর রোমীয়দের বিরুদ্ধে এই ছেলেটিই প্রথম আল্লাহর রাস্তায় জান কোরবান করে শহীদ হয়ে গেলেন।
দ্বীনের জন্য মহিলাদের উদ্দেশ্য মাওলানা সাইদ আহমদ খান সাহেবের মূল্যবান নছীহত
* সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন খাদিজা (রাঃ)।
* সর্বপ্রথম শহীদ হলেন, হযরত সুমাইয়া (রাঃ)।
* দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সর্বপ্রথম বেশী ধন-সম্পদ ব্যয় করেন হযরত খাদিজা (রাঃ)।
* সবচেয়ে বড় মুহাদ্দিস হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ)।
* দ্বীনের জন্য সীমাহীন কষ্ট করেছেন ফেরাউনের স্ত্রী হযরত আছিয়া (রাঃ)
* একজন নেককার নারী ৭০ জন ওলীর চেয়ে উত্তম।
* একজন বদকার নারী এক হাজার বদকার পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট।
* একজন গর্ভবতী মহিলার দু'রাকআত নামাজ একজন গর্ভহীন মহিলার ৮০ রাকআত নামাজের চেয়েও উত্তম।
*যে মহিলা আল্লাহর ওয়াস্তে আপন সন্তানকে স্তনের দুধ পান করায়, তার প্রত্যেক ফোঁটা দুধের বিনিময়ে এক একটি নেকী তার আমলনামায় লেখা হবে।
* যখন স্বামী বাইরে থেকে পেরেশান হয়ে বাড়ী ফিরে তখন যদি তার স্ত্রী স্বামীকে মারহাবা বলে সান্ত্বনা দেয়, ঐ স্ত্রীকে জিহাদের অর্ধেক নেকী দান করা হয়।
* যে মহিলা আপন সন্তানদের কারণে রাতে ঘুমাতে পারে না, তাকে ২০টি গোলাম আজাদ করার নেকী দান করা হয়।
* যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে রহমতের নজরে দেখে এবং স্ত্রীও স্বামীকে রহমতের নজরে দেখে । আল্লাহ গাফুরুর রাহীম ঐ দম্পতিকে রহমতের নজরে দেখেন।
* যে মহিলা স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠিয়ে দেন এবং নিজের স্বামীর অনুপস্থিতির কষ্ট খুশীর সাথে বরদাশত করে ঐ মহিলা পুরুষ অপেক্ষা ৫০০ বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে এবং ৭০ হাজার ফেরেশতা তার এস্তেকবাল করবেন। তিনি হুরদের সর্দারনী হবেন । জাফরান দ্বারা তাকে গোসল করানো হবে এবং সেখানে সে স্বামীর অপেক্ষা করবে।
* যে মহিলা তার অসুখের কারণে কষ্ট ভোগ করে এবং তার পরেও সে সন্তানদের সেবা-যত্ন করে আল্লাহ রাব্বল আলামীন ঐ মহিলার পিছনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং ১২ বছরের নেকী দান করেন।
* যে মহিলা গরু, ছাগল, ভেড়া বা মহিষের দুধ দোহনের সময়ে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে ঐ পশু তার জন্য দোয়া করে।
* যে মহিলা বিসমিল্লাহ্ বলে খাবার প্রস্তুত করে আল্লাহ তাআলা ঐ খাবারে বরকত দান করেন।
* যে মহিলা বেগানা (পর) পুরুষকে উঁকি মেরে দেখে, আল্লাহ জাল্লাজালালুহু ঐ মহিলাকে লা'নত (অভিসম্পাত) করেন। ভিন্ন পুরুষের জন্য বেগানা মহিলাকে দেখা যেমন হারাম, তেমনি মহিলাদের জন্যও (বেগানা) পুরুষকে দেখা হারাম।
* যে মহিলা যিকিরের সাথে ঘর ঝাড় দেয়, আল্লাহ্ পাক খানায়ে কাবা ঝাড় দেয়ার ছাওয়াব তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করেন।
* যে মহিলা নামাজ রোজার পাবন্দী করে পবিত্রতা রক্ষা করে চলে এবং স্বামীর তাবেদারী করে চলে তাকে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
* দুই ব্যক্তির নামাজ মাথার উপর ওঠে না। (১) যে গোলাম তার মালিক থেকে পলায়ন করে। (২) ঐ নারী যে তার স্বামীর নাফরমানী করে।
* যে মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় থাকেন তিনি বাচ্চা প্রসব না হওয়া পর্যন্ত দিনে রোজা ও রাত্রে নামাজরত থাকার নেকী পেতে থাকেন।
* সন্তান প্রসবকালীন সময়ে প্রসবের যে কষ্ট হয়, প্রতিবারের ব্যথার কারণে হজ্জের নেকী দান করা হয়।
* সন্তান প্রসবের ৪০ দিনের মধ্যে মারা গলে তাকে শাহাদাতের ছাওয়াব ও মর্তবা দান করা হয়। * সন্তান কান্নার কারণে যে মাতা সন্তানের জন্য বদ দোয়া দেয় না, বরং সবর করে, সেই জন্য তাকে এক বছরের নফল নামাজের নেকী দান করা হয়।
* যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো হয় তখন আসমান থেকে একজন ফেরেশতা সুসংবাদ দেন যে, আপনার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে।
* যখন স্বামী বিদেশ থেকে আসে তখন যে স্ত্রী খুশী হয়ে তাকে খানা খাওয়ায় এবং সফরকালীন সময়ে স্ত্রী স্বামীর কোন হকের খেয়ানত না করে, সে ১২ বছর নফল নামাজের ছাওয়াব পাবে।
* যে স্ত্রী স্বামীর সন্তুষ্টি নিয়ে ইন্তেকাল করেন, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।
* যে স্বামী তার স্ত্রীকে একটি মাসয়ালা শিখাবে, সে স্বামীকে ৭০ বছর নফল ইবাদতের ছাওয়াব দান করা হবে।
* সকল জান্নাতীগণ আল্লাহ পাকের সাক্ষাতে যাবে, কিন্তু যে মহিলারা হায়া ও পর্দা রক্ষা করে চলেছে, স্বয়ং আল্লাহ তাদের সাথে সাক্ষাতে আসবেন।'
* যে মহিলা পর্দা করে না, অন্য পুরুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে, ঐ সমস্ত মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমন কি জান্নাতের খুশবুও পাবেন না।
* যে নারী স্বামীকে দ্বীনের উপর চলার জন্য তাকিদ করেন, তিনি মা আছিয়ার, সাথে জান্নাতে যাবেন।
পুরুষদের মেহনতের পাশাপশি মাছরাতের মধ্যেও মেহনত হওয়া জরুরী।
মহান আল্লাহ্ রাব্বল আলামীনের প্রশংসার সাথে (মাছতুরাতের মেহনত) স্মরণ যোগ্য যে, দীর্ঘ দিন যাবত তাদের মধ্যে মুবারক দ্বীনের আলো ছড়ানোর মেহনত চলছে। যেহেতু আমাদের মাছতুরাতগণ (মহিলা সমাজ)ও উম্মতে মুসলেমার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কাজেই পুরুষদের মেহনতের পাশাপাশি মাছতুরাতের মধ্যেও মেহনত হওয়া জরুরী। তবে যেমন তাদের মধ্যে মেহনত হওয়ার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা রয়েছে, তেমনি তাদের মেহনতের বিষয় খুবই নাজুক ও স্পর্শকাতরও বটে। তাদের মেহনত যদি পূর্ণ সতর্কতার সাথে এবং বড়দের নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে সঠিক পদ্ধতিতে না হয় তবে কঠিন ফেত্না সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। কাজেই দ্বীনের মুবারক মেহনতকে ক্ষতি থেকে সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে নিম্নে বর্ণিত উছুলের অনুসরণ একান্ত বাঞ্ছনীয়।
**সমাপ্ত **
No comments