মুসলমান হওয়ার বা মুসলমান বানানোর তরীকা এবং কাউকে কাফের কেন বলে? । Islamic Media Blog
![]() |
মুসলমান হওয়ার বা মুসলমান বানানোর তরীকা এবং কাউকে কাফের কেন বলে? মুসলমান হওয়ার বা মুসলমান বানানোর তরীকা* কোন অমুসলমানকে মুসলমান হতে হলে বা তাকে মুসলমান বানাতে হলে তার গোসল করে নেয়া মোস্তাহাব, যদি হদছে আকবার থেকে পাক হয়, অর্থাৎ গোছল ওয়াজেব অবস্থায় না থাকে। * যে মুসলমান হতে চায় সে কালেমায়ে তইয়্যেবা কিম্বা কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে। বোবা হলে ইশারায় তাওহীদ ও রেছালাতের স্বীকৃতি দিবে। * কালেমার মধ্যে আল্লাহ তা'আলার যে একত্ববাদ ও মুহাম্মাদ (সঃ)-এর যে রেছালাত (রাসূল হওয়া) সম্বন্ধে স্বীকৃতি রয়েছে, তা জেনে বুঝে মেনে নিতে হবে এবং দ্বিধাহীন চিত্তে তা গ্রহণ করতে হবে। কালেমার এই অর্থ ও বিষয়বস্তু উপলব্ধি ব্যতীরেকে কেবল মুখে মুখে কালেমা উচ্চারণ করে নিলেই সে আল্লাহর কাছে মুমিন ও মুসলমান বলে গণ্য হবে না। কালেমায়ে তইয়্যেবা, কালেমায়ে শাহাদাত, কালেমায়ে তাওহীদ, কালেমায়ে তামজীদ জানতে ক্লিক করুন। * কালেমায়ে তইয়্যেবা, কালেমায়ে শাহাদাত, কালেমায়ে তাওহীদ, কালেমায়ে তামজীদ প্রভৃতি কালেমা সমূহ মুখস্ত করা জরুরী নয়, শুধু তার বিষয়বস্তুতে বিশ্বাস করাই * অতঃপর তাকে ক্রমান্বয়ে ইসলামের জরুরী আকীদা ও আমলের বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। * যে কোন মুসলমান অন্য যে কোন অমুসলমানকে মুসলমান বানাতে পারে।
কাউকে কাফের আখ্যায়িত করা এর নীতি ১, যখন কেউ প্রকৃতই কাফের হয়ে যায়, তখন তাকে কাফের বলে ফতুয়া দিয়ে দেয়া মুফতীদের কর্তব্য, যাতে অন্য মুসলমান তার আকীদা বিশ্বাসের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যেতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে মুফতীদের এ কথার ভয় করা উচিত হবে না যে, মৌলভীরা শুধু ফতুয়াবাজী করে বেড়ায় বা নিজেদের মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ি করে। ২. যদি কেউ প্রকৃতঃই কাফের না হয়ে যায়, তাহলে তাকে কাফের আখ্যায়িত করা মহাপাপ। এতে এরূপ ফতুয়া প্রদানকারী স্বয়ং নিজেই কাফের হয়ে যাবে । কাজেই কাফের ফতুয়া প্রদানের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে-এ ব্যাপারে তাড়াহুড়া সংগত নয়। ৩. কোন মুসলমানের কোন কথা বা কাজ কুফর কি না- এ ব্যাপারে উভয় দিকের সম্ভাবনা থাকলে তাকে সেই কথা বা কাজের ভিত্তিতে কাফের বলে ফতুয়া দেয়া যাবে না, এমন কি কুফরের দিকটার সম্ভাবনা বেশী থাকলেও, এমনকি সেটা কুফর হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ ভাগ আর কুফর না হওয়ার সম্ভাবনা ১ ভাগ হলেও। তবে হা একটি কথা বা একটি কাজও যদি এমন পাওয়া যায় যা নিশ্চিতই কুফরী, তাহলে তার কারণে তাকে কাফের আখ্যায়িত করা হবে। বিঃ দ্রঃ কয়েকটি কুফরীর বিবরণ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন। |
Best Post. Thanks for write this post. jazakallah
ReplyDelete