মেসওয়াকের মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা।Islamic Media Blog
![]() |
মেসওয়াকের মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা |
মেসওয়াকের মাসায়েল
মেসওয়াক-এর ভাল বিষয়ক :
১. মেসওয়াক পলু বা যয়তুনের ডালের হওয়া উত্তম।
২. মেসওয়াক কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মত মোটা হওয়া উত্তম।
৩. মেসওয়াক প্রথমে এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উত্তম।
৪. মেসওয়াক নরম হওয়া মোনাছেব।।
৫. মেসওয়াক কম গিরা সম্পন্ন হওয়া উত্তম।
৬. মেসওয়াকের ডাল কাচা হওয়া উত্তম।
মেসওয়াক ধরার তরীকা বিষয়ক :
১. মেসওয়াক ডান হাতে ধরা মোস্তাহাব।
২. মেসওয়াক ধরার তরীকা হলঃ কনিষ্ঠ আঙ্গুল মেসওয়াকের নীচে, বৃদ্ধ আঙ্গুলের অগ্রভাগ মেসওয়াকের উপরের দিকে নীচে এবং অবশিষ্ট আঙ্গুলগুলো (মধ্যের তিন আঙ্গুল) মেসওয়াকের উপরে রাখবে।
মেসওয়াকের দুআ ও যিকির বিষয়ক:
১. বিসমিল্লাহ বলে মেসওয়াক শুরু করবে।
২. মেসওয়াক শুরু করার সময় দুআ পড়া মোস্তাহাব। দুআটি এই-
মেসওয়াক করার তরীকা বিষয়ক :
১. মেসওয়াক শুরু করার পূর্বে ভিজিয়ে নেয়া উত্তম।
২. প্রথমে উপরের দাঁতের ডান দিকে অতঃপর বাম দিকে, তারপর নীচের দাঁতের ডান দিকে অতঃপর বাম দিকে, তারপর দাঁতের ভিতরের দিকে অনুরূপ ভাবে ঘষতে হবে।
৩. এভাবে তিন বার ঘষা উত্তম। প্রতিবারেই নতুন পানি দিয়ে মেসওয়াক ধুয়ে নেয়া মোস্তাহাব।
৪. মেসওয়াক দাঁতের অগ্রভাগে, উপর ও নীচের তালুর অগ্রভাগে এবং জিহবার উপরিভাগেও করা উত্তম।
৫. মেসওয়াক দাঁতের উপর চওড়াভাবে ঘষা নিয়ম । ইমাম গাযযালী (রহঃ) উপর নীচ-ভাবে ঘষার কথাও বলেছেন। কমপক্ষে চওড়াভাবে ঘষতে হবে।
৬. শোয়া অবস্থায় মেসওয়াক করা মাকরূহ।
৭. মেসওয়াক করার পর মেসওয়াক ধুয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে।
বিঃ দ্রঃ মেসওয়াক না থাকলে মেসওয়াকের বিকল্প হিসেবে ব্রাশ ব্যবহার করা যায়। এতে মেসওয়াকের ডাল বিষয়ক সুন্নাত আদায় না হলেও মাজা ও পরিস্কার করার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় হাত দিয়ে বা মোটা কাপড় দিয়ে দাঁত মেজে নিতে হবে। হাত দিয়ে মাজার তরীকা হলঃ ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুল দিয়ে ডান পাশের দাঁতের উপরে অতঃপর নীচে, তারপর শাহাদাত (তর্জনী) আঙ্গুল দিয়ে বাম পাশের দাঁতের উপরে অতঃপর নীচে ঘষতে হবে ।
No comments