Header Ads

Islamic Media Blog

গোসলের ফরয, সুন্নাত, মোস্তাহাব ও আদব সমূহ

 

গোসলের ফরয, সুন্নাত, মোস্তাহাব ও আদব সমূহ, গোসলের ফরয সমূহ, যে সব কারণে গোসল ফরয হয়, যে সব কারণে গোসল ফরয হয়না

 

গোসলের ফরয, সুন্নাত, মোস্তাহাব ও আদব সমূহ

গোসলের ফরয, সুন্নাত, মোস্তাহাব আদবসমূহ

(গোসলের যাবতীয় আমল ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হল।

* গোসলখানা নোংরা থাকলে কিম্বা গোসলখানার মধ্যে পায়খানা থাকলে বাম পা দিয়ে গোসলখানায় প্রবেশ করবে। আর তার মধ্যে পায়খানা না থাকলে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে যে কোন পা দিয়ে প্রবেশ করা যায়

* তবে গোসলখানা নোংরা থাকলে বা গোসলখানার মধ্যে পায়খানা থাকলে দুআটি বাইরে থেকেই কাপড় খোলার সময় পড়বে

* গোসলের নিয়ত করা সুন্নাত।

* নিয়ত বাংলাতে এভাবে করা যায়-

আমি জানাবাত থেকে পবিত্রতা হাছিল করার জন্য গোসলের নিয়ত করছি

* বসে গোসল করা উত্তম।

* আড়াল স্থানে এবং ছতর ঢেকে গোসল করা মোস্তাহাব। আড়াল স্থান হলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয তবে মোস্তাহাবের খেলাফ

* কেবলামুখী হয়ে গোসল না করা উত্তম।

* গোসলের শুরুতে উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে এটা সুন্নাত

* তারপর পেশাব পায়খানার রাস্তা (তাতে নাপাকী না থাকলেও) ধৌত করা সুন্নাত

* তারপর শরীরের অন্য কোন স্থানে নাপাকী থাকলে তা ধৌত করা সুন্নাত।

*তারপর নামাযের উযূর ন্যায় উযূ করবে। এই উযূর মধ্যে উযূর অঙ্গসমূহের দুআ পাঠ করাটা বিতর্কিত, তবে গোসলখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলে এবং তার মধ্যে পায়খানা না থাকলে দুআগুলো পাঠ করা যায়

 আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে বিস্তারিত দেখুন 


গোসলের ফরযসমূহ :

. কুলি করা ফরয। রোযাদার না হলে গড়গড়া করা সুন্নাত এবং তিনবার এরূপ গড়াগড়া সহ কুলি করা সুন্নাত। দাঁতের মধ্যে খাদ্যকণা আটকে থাকলে তা অপসারণ করবে

. নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো ফরয। নাকের মধ্যে শুকনো ময়লা থাকলে তা- দূরীভূত করবে। তিনবার এরূপ পানি পৌছানো সুন্নাত

. সমস্ত শরীরে পানি পৌছানো ফরয। মহিলাদের নাকের কানের ছিদ্রে অলংকার না থাকলে তার মধ্যেও পানি পৌছাতে হবে। অলংকার থাকলে নাড়াচাড়া দিয়ে ছিদ্রের ভিতরে পানি প্রবেশ করাবে। চুলের বেণী খোপা খুলে সমস্ত চুল ভিজাতে হবে। তবে কোন গাম বা আঠালো বস্তু দ্বারা মহিলাদের চুল বেণী বা খোপা করে বাঁধানো থাকলে সে ক্ষেত্রে তা না খুলে গোড়ায় পানি পৌছাতে পারলেও চলবে। (বেহেশতি জেওরবাংলা)

* গোসলের স্থানে পানি জমা হয়এমন স্থানে গোসল করলে গোসলের পরে অন্যত্র সরে গিয়ে পা ধোয়া সুন্নাত

* সমস্ত শরীরে পানি পৌছানোর সুন্নাত তরীকা হল- প্রথমে ভিজা হাত দ্বারা সমস্ত শরীর ভিজিয়ে নিবে তারপর তিনবার মাথায় পানি ঢালবে। তারপর তিনবার ডান কাধে পানি ঢালবে তারপর বাম কাঁধে তিনবার পানি ঢালবে। প্রতিবার পানি ঢেলে ভাল করে শরীর মর্দন করে পরিষ্কার করা সুন্নাত

* গোসলের পর পানি মুছে ফেলার কিছু থাকলে তা দিয়ে শরীর মুছে ফেলবে

* তারপর যথাসম্ভব দ্রুত কাপড় দ্বারা শরীর আবৃত করবে

* গোসলখানা থেকে বের হওয়ার সময় যদি বাম পা দিয়ে প্রবেশ করে থাকে, তাহলে ডান পা দিয়ে বের হবে

* বের হওয়ার পর উযুর শেষে যে সব দুআ পড়া মোস্তাহাব এখানেও সেগুলো পড়বে

* গোসলের পর কোন অঙ্গ ধোয়া হয়নি বা কোথাও শুকনো রয়ে গেছে মনে হলে শুধু সেটা ধুয়ে নিলেই চলবে, পুরো গোসল দোহরানোর প্রয়োজন নেই।

 

যে সব কারণে গোসল ফরয হয় :

. যৌন সম্ভোগ দ্বারা অথবা অন্য কোন কারণে জোশের সাথে মনী (বীর্য) বের হলে 

. স্বপ্ন দেখুক বা না দেখুক রাতে অথবা দিনে ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হলে। তবে শয়নের কাপড়ে বা শরীরে মনীর চিহ্ন না দেখা গেলে গোসল ফরয হয় না।

. স্বামীর লিঙ্গের শুধু অগ্রভাগ অর্থাৎ, খৎনার স্থানটুকু স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গে প্রবেশ করলে (যদিও কিছু বের না হয়) যেমন সামনের রাস্তার এই হুকুম, তদ্রপ মহাপাপ হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ পেছনের রাস্তায় প্রবেশ করায় তবুও এই হুকুম।

. স্ত্রী লোকের হায়েয হওয়ার পর যখন রক্ত বন্ধ হয় তখন গোসল ফরয হয়

. স্ত্রীলোকের নেফাসের রক্তস্রাব বন্ধ হলে পাক হওয়ার জন্য গোসল ফরয হয়

কবীরা গুনাহ বা বড় গুনাহের তালিকা ও কি ভাবে মাফ হয় ।

ছগীরা গুনাহ বা ছোট গুনাহর তালিকা ও কি ভাবে মাফ হয় ।


যে সব কারণে গোসল ফরয হয় না :

. যদি কোন রোগের কারণে ধাতু পাতলা হয়ে বা কোন আঘাত খেয়ে বিনা উত্তেজনায় ধাতু নির্গত হয় তাতে গোসল ফরয হয় না।

. স্বামী স্ত্রী শুধু লিঙ্গ স্পর্শ করে যদি ছেড়ে দেয়। কিছু মাত্র ভিতরে প্রবেশ না | কল্লায় এবং মনীও বের না হয়, তাতে গোসল ফরয হয় না।

. শুধু মযী বের হলে তাতে কেবল উযু ভঙ্গ হয়, গোসল ফরয হয় না।

. ঘুম থেকে উঠার পর যদি স্বপ্ন স্মরণ থাকে কিন্তু কাপড়ে বা শরীরে কোন কিছু দেখা না যায় তবে তাতে গোসল ফরয হয় না

. এস্তেহাযার রক্তের কারণে গোসল ফরয হয় না

গোসল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।



No comments

Powered by Blogger.